#অলৌকিক_অতিলৌকিক#সৌরভ_কুমার_নাথ
|| ভৌতিক | ছোটগল্প ||
#অলৌকিক_অতিলৌকিক
#সৌরভ_কুমার_নাথ
রিঙ্কি এখন হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে মাস্টার্স করছে। ভুতের বই পড়ার শখটা বরাবরই ছিল, এখন মাত্রা ছাড়িয়েছে। সেই ক্লাস ফাইভে থাকতে টুকটুকি মাসি জন্মদিনে একটা ভূতের গল্পের বই গিফ্ট করেছিল, কিন্তু তার প্রভাব যে এত সুদূরপ্রসারী হবে, কস্মিনকালেও সেকথা ভাবতে পারিনি রিঙ্কির মা। এখনো ছোট বোনকে ফোনে গাল দিতে একটুও কসুর করে না; তোর জন্যে মেয়েটার এই দশা! বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড ঘুরে ভূত খুঁজে চলেছে। রিঙ্কি এখন "গোস্ট আট মোস্ট" নামের একটি গ্রূপের সদস্য। ভূতের খবর পেলে সেখানে তার যাওয়া চাই-ই-চাই।
এইতো বছর খানের আগের ঘটনা, সামিলপুর নামে পুরুলিয়ার একটা অখ্যাত গ্রামে নাকি কাকে ভূতে পেয়েছে, মেয়ে দলবল নিয়ে সেখানে হাজির। সব দেখে শুনে বুঝলো যাকে ভূতে পেয়েছে বলে রটানো হয়েছে, ভদ্রলোক স্কিটজোফ্রেনিয়ার রুগী। এই কথা বলাতে পাড়ার লোকজন তো তাদের এই মারে কি সেই মারে! কোনো মতে আদ্রা স্টেশনে পৌঁছে রাতের ট্রেন ধরে বাড়ি। গত সেমের আগে হঠাৎ করে খবর এলো কলকাতার একটা বনেদী বাড়িতে নাকি ভূতের উপদ্রব হয়েছে, সেখানেও বিন বুলায়া মেহেমানেরা হাজির। বাড়িতে বয়স্ক দুই বুড়ো বুড়িকে ভয় দেখিয়ের বাড়ি হাতানোর তালে ছিল প্রমোটার, সব কারসাজি ধরা পড়লো। কোন খামচি থেকে লাউড স্পিকার, প্রজেক্টর এসব ধরা পড়লো। ভদ্রলোকের ছেলে মেয়েরা সব বিদেশে থাকে। সে সব ধরপাকড়ের পর ফোনে থ্রেটও খেতে হয়েছে রিঙ্কিদের। তবে ওদের বন্ধু অনির্বানের বাবা পুলিশের একটি বড় পদে আছেন বলে বিভিন্ন সময় তিনিই এইসব ছেলে মেয়ে গুলোকে সামলেছেন।
সুজিত এর বাড়ি করিমপুর, নদীয়া জেলার মধ্যে হলেও তুলনামূলক মুর্শিদাবাদের কাছে এবং নদীয়া-মুর্শিদাবাদের সংযোগস্থলে বলা যেতে পারে। গ্রূপের সিনিয়র সদস্য, তার বিয়ে। কাজের সূত্রে বাগুইহাটিতে থাকলেও বিয়েটা বাড়ি থেকেই করছে। গ্রূপের সবার নিমন্ত্রণ, রবিবার বিয়ে, মঙ্গলবার রিসেপশন। সুজিত ব্যারাকপুর এ বিয়ে করেছে সুতরাং বিয়েতে যাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই কিন্তু বৌভাতে যাওয়া কিভাবে হবে তাই নিয়ে শুরু হলো আলোচনা। শেষে ঠিক হলো প্রথমে ট্রেনে তারপর একটা গাড়ি ভাড়া করে সুজিতের বাড়িতে যাওয়া হবে। কৃষ্ণনগর সদর শহর হলেও করিমপুর রাস্তার হিসাবে প্রায় ঘন্টা দুয়েকের পথ, পরিবেশ বেশ গ্রাম্য তার মাঝে আবার কিছু ফাঁকা জায়গা আছে, আর আছে কিছু বনাঞ্চল। সব ঠিক করে প্ল্যানিং করার পরেও শেষে শ্যামলের ঠাকুমা অসুস্থ হয়ে পড়ায় শেষ মুহূর্তে স্বপন আর রিঙ্কি বিয়েবাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল। ফেরার তাড়া ছিলো না, কারণ সুজিত ওদের জন্যে থাকার ব্যবস্থা করেছিল।
ওদের দুপুরের পর পরই পৌঁছানোর কথা কিন্তু শিমুরালিতে ট্রেনের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রায় দু'ঘন্টা লেট হয়ে গেল। ওরা যখন কৃষ্ণনগর পৌছালো তখন প্রায় সাতটা বেজে গেছে। ওদের জন্যে একটা সাদা অ্যম্বাসেডার দাঁড়িয়ে ছিল। ফোনে সুজিতকে জানিয়ে দিয়ে ওরা দু'জন রওনা দিলো বিয়ে বাড়ির উদ্দেশে।
তেহট্ট ছাড়ার পর থেকেই গাড়িটার কিছু সমস্যা হচ্ছিল, মেইন রোড থেকে একটা ছোট কাঁকুড়ে রাস্তা ধরার পরেই গাড়িটা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। ড্রাইভার নেমে অনেক চেষ্টা করলেন কিন্তু কিছু বুঝতে না পেরে বললেন সামনেই একজন মেকানিক থাকে, ওর বাড়িটা আধঘন্টার রাস্তা। আপনারা গাড়িতে বসবেন, বেরোবেন না। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরবো। সুজিতটা একটা দায়িত্ব দিয়েছিল সেটাও ঠিক করে করতে পারলাম না। এমন জায়গায়ই গাড়িটা খারাপ হতে হলো। সুজিত আমার দূর সম্পর্কের ভাগ্নে। ওরা একটু লজ্জা পেল কারণ শুধু একজন ড্রাইভার ভেবে অনেক কিছু বলে ফেলেছে ততক্ষণ। মামা বাবু বলে ক্ষমাও চেয়ে নিল ওরা।
ভদ্রলোক একটা কথা বার বার বলছিলেন, তোমরা বাবা গাড়ি থেকে নেমনা কিন্তু।
"এমন জায়গায় গাড়িটা খারাপ হতে হল" এই কথাটা যেন খুব কানে বাধলো রিঙ্কির। হঠাৎ এ কথা বললেন কেন মামা বাবু? এখানে কি ডাকাতি হয়? নাকি অন্য কিছু? এসব কথা ঘুরপাক খেতে লাগলো ওদের মাথায়।
গাড়িটা সুন্দর করে সাজানো, রাম, সীতা, হমুমন, শ্রীকৃষ্ণ কে নেই গাড়িতে। সিটগুলো পুরোনো হলেও খুব ভালো করে মেইনটেইন করা। সিটগুলোর উপরে দামি তোয়ালে আটকানো। মামা বাবু ভদ্রলোক বেশ সৌখিন, কি বলিস রিঙ্কি? হ্যাঁ, দেখে তো তাই মনে হচ্ছে - বললো রিঙ্কি।
কিন্তু আমরা তো গাড়িতে বসে থাকব না। আমরা জায়গাটা এক্সপ্লোর করবো, মনে রাখতে হবে আমরা "গোস্ট আট মোস্ট"এর সদস্য, হাহাহা!! বললো স্বপন। দুজনেই গাড়ি থেকে নেমে পায়চারি করতে লাগলো। একটু বুক ভরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিয়ে নে এরকম অক্সিজেন তোদের ওই মানিকতলায় পাবি না - বললো রিঙ্কি। স্বপনের বাড়ি মানিকতলায়, ছোটবেলায় কোনোদিন বুঝতেই পারেনি আকাশটা চৌকো নয়। আকাশের একটা অন্য ডেফিনেশন আছে। ওদের ফ্ল্যাটটার চারিদিকে বড় বড় আকাশচুম্বী বাড়ি।
পাশেই একটা পুকুর আছে, দূরে একটা বাড়িও আছে সামনে, চাঁদের আলোতে বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে বললো রিঙ্কি। স্বপন যেন সম্বিৎ ফিরে পেল, সেই চৌকো আকাশটায় আটকে ছিল এতক্ষন। এই সময় একটা ভূত এলে বেশ ভালো হয়, কি বলিস স্বপন? বলে রিঙ্কি।
তাহলে আর কি ভূতের রাজাকে বর না দিয়ে যেতে দেব ভেবেছিস? বলে স্বপন।
হঠাৎ একটা গাড়ির আওয়াজ পায় দুজনে, ঘুরে দেখে একটা পুরোনো ভিনটেজ গাড়ি আসছে রাস্তা দিয়ে, কিন্তু আলো নেই। রোলস রোয়স ফ্যান্টম টু বললো রিঙ্কি। এটাও ওর একটা ঝোঁক পুরোনো ভিনটেজ গাড়ির ছবি কালেকশন আর যাবতীয় খবর। দেওঘরে দেখেছিলাম অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমে। এই মডেলটা শুধু তিনশোটা ইউনিট বেরিয়েছিল, যার গাড়ি বেশ বড়লোক হবে কারণ এর দাম এখন কোটিতে।
গাড়িটাকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করালো ওরা। ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে হকচকিয়ে গেল ওরা। ড্রাইভিং সিটটা উল্টো দিকে, আসলে এই গাড়ি গুলো লেফট হ্যান্ড ড্রাইভিং করার জন্য। ড্রাইভার ভদ্রলোক অসম্ভব অভদ্র। কথা বলার জন্য কাঁচটাও নামাচ্ছে না। ওরা জিজ্ঞেস করলো দাদা এখানে বিশ্রাম নেবার একটা জায়গা পাওয়া যাবে আসে পাশে? ভেতর থেকে আওয়াজ এলো আমার বাড়িতে বিশ্রাম নিতে পারেন, ওই সামনে আমায় বাড়ি। গলাটা শুনে কেমন যেন গা ছমছম করে উঠলো ওদের! এত কর্কশ গলা ওরা জন্মাবধি শোনেনি। মামাবাবুর ফোনটাও লাগছে না। যাই হোক দুজনে গাড়িতে উঠে বসলো। গাড়ির ভেতরটা ভয়ঙ্কর অন্ধকার! আর কেমন যেন ঠান্ডা আর স্যাঁতসেঁতে একটা পরিবেশ।
গাড়িটা গিয়ে দাঁড়ালো একটা বাড়ির সামনে, অনেক পুরোনো একটা জমিদার বাড়ির মতোই দেখতে। সেই পুরোনো দিনের লণ্ঠন জ্বলছে বটে তবে আলো খুব কম। এই স্মার্টফোনের যুগে এরকম একটা বাড়ি ঠিক সহজ ভাবে নেওয়া যাচ্ছে না। এ যেন এক আলো-আঁধারী খেলা, সবই দেখা যাচ্ছে কিন্তু মানুষগুলোকে আলাদা করে চেনা যায় না। কেমন যেন অদ্ভুতভাবে দুশো বছর পেছনে চলে গেছি। বাড়িটায় যে জায়গাটায় আমাদের বসতে দিল সেটাকে বৈঠক খানা বলা চলে। বিরাট বড় একটা ঝাড়বাতি ঝুলছে কিন্তু আলো অত্যন্ত কম। ছাদটা অনেক উঁচু সাধারণত পুরোনো বাড়ি গুলো যেমন হয়। দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা প্রস্তুতি চলছে। বড় কোনো ভোজের প্রস্তুতি হবে।
হঠাৎ একটা হুলুস্থূল পড়ে গেলো পুরো বাড়ি ময়। মহিলারা চিৎকার করতে লাগলো, কিছু মানুষ ঢাল বল্লম হাতে মূল ফটকের দিকে এগিয়ে গেল, কেমন একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। ওরা খুব অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো, এগিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখতে লাগলো, কি হচ্ছে এসব? বাইরে থেকে কারা যেন গুলি চালাতে লাগলো, চোখের সামনে মানুষ মরতে লাগলো। সে এক বীভৎস পরিবেশ। ঘটনার আকস্মিকতায় ওদের কোনো কিছু করার ক্ষমতা ছিলোনা শুধু দেখতে থাকলো। মহিলা, শিশু কেউ বাঁচলো না। সবাইকে হত্যাকারীরা হত্যা করলো। তারপর দেহগুলো নিয়ে কি বীভৎস উৎসব শুরু করলো। শেষে এক বৃদ্ধকে এনে দালান মন্দিরে হাঁড়ি কাঠে বলি দিল। সেই দৃশ্য দেখার নয়!
দুজনের চোখ বুঝে এলো।
হঠাৎ মামাবাবুর ডাকে ঘুমটা ভেঙে গেল। দুজনেই গাড়ির মধ্যে অঘোরে ঘুমাচ্ছে তখন। ঘুমটা ভেঙে বিস্ময়ে ফেটে পড়লো ওরা। কি হল ব্যাপারটা। ওদের পরিবর্তন লক্ষ্য করে আর কিছু বললেন না মামাবাবু। ওরা দেখলো একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে ওদের গাড়িটার সামনে। মামাবাবু বললেন এই গাড়ি আজ আর ঠিক হবেনা, কাল মিস্ত্রি আসবে। তোমরা ওই জিপটায় একটু কষ্ট করে চলে যাও, আমি কাল গাড়ি ঠিক করে তোমাদের সাথে দেখা করবো।
বিয়ে বাড়িটা সেই ভাবে কাটেনি ওদের, রাতে ভালো ঘুম ও হলনা। পরের দিন সকালে সুজিত জিজ্ঞেস করলো কি হলো রে তোদের? চিয়ার আপ গাইস!! দুজনেই একটু হেসে বললো ও কিছুনা আসলে এতটা দূরের জার্নি তো!
মামা বাবু ফিরলেন যখন তখন প্রায় বেলা বারোটা বেজে গেছে। ওদের স্টেশন পৌঁছে দিতে হবে, নয়তো ওদের ফিরতে দেরি হয়ে যাবে বললো সুজিত। দুটো নাগাদ রেডি হয়ে বেরোলো ওরা, রাস্তায় আর কোনো কথা হয়নি ওদের। শিয়ালদা যখন পৌঁছালো ওরা রাত সাড়ে আটটা বেজে গেছে। দুজনেই ক্যাব নিয়ে বাড়িতে ফিরলো। তবে ওদের ঘোর কাটতে আরো দুদিন লাগলো। হঠাৎ মাথায় একটা বিদ্যুৎ খেলে গেল রিঙ্কির। লাইব্রেরিতে গিয়ে কিছু ইতিহাসের বই উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলো।
আজ স্বপনকে আর সুজিতকে বাড়িতে ডেকেছে রিঙ্কি, সাথে সুজিতের নববিবাহিতা স্ত্রী। সেদিনের পুরো ঘটনাটা আদ্যপ্রান্ত বলে রিঙ্কি, সবাই হাঁ করে শুনে চলেছে। সেদিনের ঘটনাটা ঘটার পরে আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না। দুজনে একই স্বপ্ন কিভাবে দেখলাম, সেই ঘটনাটা অবশ্যই আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, কিন্তু কিভাবে? গুগলে সার্চ করতে গিয়ে হঠাৎ একটা ঘটনা আবিষ্কার করলাম। তারপর ইতিহাসটা যাচাই করলাম।
ঘটনার সূত্রপাত উনিশশো উনিশ, অবিভক্ত বাংলার এক জমিদার, শ্রী প্রতাপাদিত্য মহলদার, যেমন বড় তার জমিদারি, তেমন প্রতিপত্তি।
তার দান-ধ্যান, তার মানুষের প্রতি ব্যাবহার, আশেপাশের সমস্ত জমিদারদের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রজারা খুব খুশি ছিল, আশেপাশের জমিদারি থেকে মানুষ আসতে শুরু করে। জমিদারবাবু তাদের জমি দান করে থাকার ব্যবস্থা করে দিতেন। একসময় সব জমিদারেরা মিলে গোপন অভিসন্ধি করে। সেই দিনটা ছিল জমিদার বাবুর দ্বিতীয় পুত্র শ্রীমান বিক্রমাদিত্য মহলদারের বিয়ের দিন। কোনোদিন কোনো সাহায্য প্রার্থীকে খালি হাতে ফেরাননি জমিদারবাবু। কিন্তু সেইদিন ডাকাতরা ছদ্মবেশে এসে পুরো পরিবারটাকে শেষ করে দেয়। ছোট ছোট বাচ্চা, মহিলাদেরও হত্যা করা হয়। জমিদারবাবুকে টেনে এনে হাঁড়ি কাঠে বলি দেওয়া হয়।
পুরো ঘটনায় সাহায্য করেছিল জমিদার সাহেবের বিমাত্রেও ভাই কানাইলাল মহলদার। শুধুমাত্র জমিদারি দখল করার জন্যে।
এর পরেই ঘটে একটা অভূতপূর্ব ঘটনা, সাধারণ মানুষের মধ্যে জাগরণ শুরু হয়, সাধারণ মানুষ দল বেঁধে কানাইলালকে হত্যা করে। অনেক গোরা সৈন্যকেও মেরে ফেলা হয়। এই খবর জানতে পেরে অনেক জমিদার ধন-সম্পদ নিয়ে পাকাপাকি ভাবে বিদেশে চলে যান। এই বলে থামে রিঙ্কি।
সেদিন আমরা সেই দৃশ্যের সাক্ষী ছিলাম। সেই বিয়ের দিনটা আর সুজিতের বিয়ের দিনটা এক একুশে ফাল্গুন তেরস পঁচিশ আর একুশে ফাল্গুন চোদ্দশো পঁচিশ, আর বছরের পার্থক্যটা ঠিক একশো।
তবে ঘটনাটা কিভাবে ঘটলো সেই রহস্যটা রহস্যই থেকে গেল।
এরপর গ্রুপটা ছেড়ে দেয় রিঙ্কি, কিন্তু ঘটনাটা ওর মনে বিরাট প্রভাব ফেলে। এই নিয়ে একটা বইও লিখে ফেলে রিঙ্কি। এরকম একটা ঘটনাকে অলৌকিক বলা হবে নাকি অতিলৌকিক, নাকি নিতান্তই কাকতলীয় সেটা পাঠককূল ভালো বিচারক।
Comments
Post a Comment