#অনুগল্প#মোটিভ#সৌরভ_কুমার_নাথ
#অনুগল্প
#মোটিভ
#সৌরভ_কুমার_নাথ
বাথটব টার ভেতরে ডুবে বসে আমি তখনও হেসে চলেছি। বাইরে একটা শোরগোলের আওয়াজ পাচ্ছি। ছুরিটা টাবের ডান পাশে রাখা, টাবের জলটা আমার হাতে রাঙানো রক্তের রঙে লাল। সুমনার লাশ টা বাথরুমের দরজার ঠিক মাঝখানে উপরের দিকে হাঁ করে পড়ে আছে। বাথরুমের বাইরে লবির কিছু সাজানো জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে।
মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা করছে আজ। বা হাতে স্কচের স্বচ কাঁচের বোতলের থেকে তরল টা একটা গ্লাসে ঢেলে আস্তে আস্তে সিপ নিতে থাকলাম আর ঘটনাক্রমে ভাবতে থাকলাম।
ঘরে যখন ঢুকলাম ডুপ্লিকেট চাবিটা দিয়ে তখন রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। আস্তে করে ঢুকে দরজাটা লক করলাম। ঢুকতে গিয়ে আমার অবর্তমানে বাড়িতে অন্য পুরুষের উপস্থিতি অনুভব করলাম। অবাক হয়নি জানতাম আমি। ওটাই মোটিভ।
জানোয়ার টা লবি তে সোফায় বসে মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত । আস্তে করে পেছনে গেলাম। হাতেই ছুরিটা আলোতে চক চক করে উঠলো। মুখ টা চেপে ধরে আলতো করে একটা টান গলায়। গলাটা কেটে হাঁ হয়ে গেল। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকলো। কোনো আওয়াজ হয়নি। মুখটা আস্তে করে ছেড়ে দিয়ে দেখলাম ঘাড় টা কাৎ হয়ে পড়ে গেলো। সোফাটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। একটু আওয়াজ করলাম। এবার সুমনা বেরিয়ে এলো ঘর থেকে, পরনে শুধু বিকিনি। একটু এগিয়ে এসে আবছা আলো তে ওর পক্ষে বোঝা অসম্ভব ছিল, কি চলছে এখানে? ওয়াশ রুমের সামনে টায় এসে হটাৎ রক্তে পা হড়কে পরে গেল দরজার উপরে। মাথাটা সজোরে আঘাত লাগলো দরজাতে। আমিও ছুটে গিয়ে ছুরিটা সজোরে ঠিক বুকের বাঁদিকে গেথে দিলাম। দরজা টা খুলে গেল, সুমনা পরে রইলো বাথরুমে ঢোকার মুখটায়।
আমি একটা সিগারেট ধরালাম। দরজার কোনটায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে সুমনা কে দেখতে থাকলাম। এই মেয়েটাকে একদিন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। স্কচের বোতল আর গ্লাস টা নিয়ে সোজা বাথটাবে গিয়ে বসলাম। রক্তে ভেজা মেঝেটা কেনম যেন আঠালো হয়ে গেছে। আমাকে যেন কেউ পেছন থেকে টেনে ধরছিল আসার সময়।এখন অনেক শান্তি বিরাজ করছে ঘরটা জুড়ে। ফোন করে দিয়েছি পুলিশ কে, ওরাও চলে আসবে কিছুক্ষনের মধ্যে। কালকের খবরের কাগজের হেডলাইন হবে, বিখ্যাত ব্যাবসায়ী নিজের বাড়িতে স্ত্রী ও তার এক বন্ধুকে নৃশংস ভাবে খুন করেছেন। শোনা যায় ব্যাবসায়ীর ওই বন্ধুর সাথে ওনার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
Comments
Post a Comment